আজ বৃহস্পতিবার, ২১শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

চট্টগ্রাম থেকে তরুণীকে না.গঞ্জে নিয়ে এসে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চট্টগ্রাম থেকে নারায়ণগঞ্জে নিয়ে এসে এক তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (১০জুন) দুপুরে ওই যুবতী বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা করেছে।

তরুণীর ভাষ্যমতে, গত ৬ মাস আগে চট্টগ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে তার পরিচয় হয় মুন্সিগঞ্জের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম সামির সঙ্গে। সেখানে তারা একে অপরের সাথে মুঠোফোন নম্বর আদান-প্রদান করেন। পরে দু’জনের মধ্যে কথাবার্তা শুরু হয়। এক পর্যায়ে তাদের প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সম্পর্কের সূত্র ধরে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চট্টগ্রাম থেকে তরুণীকে সামি নারায়ণগঞ্জে নিয়ে আসে।

শুক্রবার তরুণী সাইনবোর্ড এলাকায় এসে নামলে সামি তাকে নারায়ণগঞ্জে নিয়ে আসে। তরুণীর দাবি, সাইনবোর্ড থেকে সামি তাকে নারায়ণগঞ্জ শহরের একটি বাড়িতে নিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে সামি। পরে ওইদিন রাতে (শুক্রবার) এক প্রকার জোর করে তাকে চট্টগ্রামের গাড়িতে তুলে দিতে শহরের উকিলপাড়া শ্যামলী বাস কাউন্টারে নিয়ে আসে। সে বিয়ে ছাড়া চট্টগ্রামে ফিরবে না জানালে এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়।

এক পর্যায়ে সেখানে লোকজন জড়ো হলে থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালে সামি পালিয়ে যায়।

অভিযুক্ত সামি একজন গার্মেন্টস কর্মী বলে জানান গেছে। এদিকে সদর মডেল থানা পুলিশ সোমবার (১০ জুন) দুপুরের দিকে ধর্ষিতা তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করে নারায়ণগঞ্জের একটি আদালতে পাঠালে সেখানে তিনি ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

মামলায় ওই ধর্ষণের পেছনে সানির মা ও এক ভাই জড়িত দাবী করা হয়। মামলায় এ তিনজনকে আসামী করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, শ্যামলী বাস কাউন্টারের সামনে দুই তরুণ-তরুণীর মধ্যে ধস্তাধস্তির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। পরে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং তার ভাষ্য অনুযায়ী আমরা ধর্ষণ মামলা গ্রহণ করেছি। তবে কোথায় নিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে সে বিষয়ে মেয়েটি সঠিক তথ্য দিতে পারেনি। তারপরে আমরা আমাদের তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।

ওসি কামরুল ইসলাম  আরো জানান, অভিযুক্ত সামিকে গ্রেফতার করতে মুন্সিগঞ্জে তার বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেছে। আদালতের নির্দেশে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।